চলতি বছরের জুনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। জুন মাসে ১৯৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০৪ জন।
সোমবার (৪ জুলাই) সকালে ‘রোড সেফটি ফাউন্ডেশন’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা।
সংগঠনটি বলছে, সারাদেশে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে শিশু ৭৩ জন, নারী ৬৮ জন এবং ৭৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নিহতের মধ্যে ২০৪ জন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৭ জন। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৮৬ জন। এছাড়া ৮টি নৌ দুর্ঘটনায় ৯ জন, ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
বিভাগভিত্তিক সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে ঢাকায়। এ বিভাগে ১১৭টি দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। তবে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনা এড়াতে সংগঠনটি ১০টি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো-
১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়াতে হবে।
২. চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. বিআরটিএ এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
৪. পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে।
৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে।
৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমাতে হবে।
৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
১০. ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।