তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত দেশের মানুষ। সাধ্য অনুযায়ী প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচতে চাইছেন সবাই। কিন্তু তাপমাত্রা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।খবর প্রথম আলোর।
ব্যাঙের বিয়ে একটি খবর। বৃষ্টির আশায় রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বেশ কয়েকজন মিলে দুটি ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন। নাটোরেও ব্যাঙের বিয়ের খবর পাওয়া গেছে।
এখানে একটি প্রশ্ন ওঠে। তা হলো,ব্যাঙের বিয়ে দিলে কি সত্যিই বৃষ্টি নামে? আর এর প্রচলনই–বা হলো কেমন করে? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে আমাদের আগে জানা প্রয়োজন, ব্যাঙের বিয়ে আসলে কীভাবে দেওয়া হয়। অঞ্চলভেদে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় রকমফের হয়। তবে উদ্দেশ্য যেহেতু এক, তাই মূল পর্বের আনুষ্ঠানিকতার রীতিও অনেকটা অভিন্ন।
ব্যাঙের বিয়ে সম্পর্কে মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, চারঘাটে কলাগাছের খোল দিয়ে দুটি বাক্সের মতো বানিয়ে তাতে রাখা হয় দুটি ব্যাঙ। গ্রামের ছেলেমেয়ে ও নারী–পুরুষেরা শরীরে রং মাখেন। ব্যাঙের গায়েও দেওয়া হয় রং। তারপর ব্যাঙ দুটিকে বাক্সে ঝুলিয়ে বাড়ি বাড়ি নিয়ে যায় এই দল। সব বাড়ি থেকে দেওয়া হয় মুঠো চাল।
আবুল কালামের ভাষ্যমতে, ওই দল গ্রামের বাড়িগুলোর উঠানে পানিও ঢেলে দিয়েছে। তারপর ওই কাদাপানিতে গড়াগড়ি খেয়েছে তারা। এরপর এক জায়গায় ফিরে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। পরে ছোট একটি গর্ত করে তাতে পানি ঢেলে ছেড়ে দেওয়া হয় ব্যাঙ দুটিকে। এই আয়োজনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গাওয়া হয় আল্লাহ মেঘ দে, পানি দে, ছায়া দে রে তুই, আল্লাহ মেঘ দে গান। এটি হলো বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা।