সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। এতে ওই সড়কগুলো দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ৮টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
জানা গেছে, বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নলজুর নদের পানি বেড়ে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক ডুবে যায়। এর পর থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে রাণীগঞ্জ ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের একাংশের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছে।
অন্যদিকে গত ১৮ জুন থেকে এ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিলে জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক, কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল-চণ্ডীঢর সড়ক, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের ভবের বাজার-নয়াবন্দর সড়ক ও আশারকান্দি ইউনিয়নের নয়াবন্দর-দাওরাই সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যায়। এরপর থেকেই ওই সব সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ওই ছয় ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
এ ছাড়া জগন্নাথপুর পৌরসভার হেলিপ্যাড এলাকার বেইলি সেতুটি ডুবে যাওয়ায় ওই সেতু দিয়ে গত ১৫ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতুর ওপর পড়ছে বাড়তি চাপ। ফলে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক মুনাঈম আহমদ বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে আছে। আমরা গাড়ি চালাতে পারছি না। এসব এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।’
ঘোষগাঁও গ্রামের বাসিন্দা পাইলগাওঁ গ্রামের রমিজ আলী বলেন, সড়কে পানি থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছে।
জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার সংসদ সদস্য সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেন, ‘বন্যায় অনেক রাস্তা ভেঙ্গে গেছে, পানি নামার সাথে সাথে কাজ শুরু হবে।’
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘বন্যার কারণে ওই সব সড়কের অনেক অংশে এখনো পানি রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করছি। পানি নেমে গেলে দ্রুতই মেরামতের ব্যবস্থা করা হবন’