বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। সরকার দলের সীমাহীন লুটপাটের ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য, তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বার বার বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ন্যায্য দাবী আদায়ে বিএনপি প্রতিটি বিভাগে সমাবেশ করছে। প্রতিটি সমাবেশেই লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়ে এই সরকারকে বিদায় জানাচ্ছে। তারপরও তারা নির্লজ্জের মত ক্ষমতা আকড়ে ধরে বসে আছে। সময় আর বেশী বাকি নেই। সরকারের সকল অপকর্মের বিচার দেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ।’
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আাগামী ২০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেকের সভাপতিত্বে ও মির্জা মো. সম্রাট হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপি আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তাই এই সরকার ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না, বিএনপি জনগণের নায্য দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন, এই আন্দোলন মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন, এই আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য- নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, বালাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম রাব্বানী, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কোহিনূর আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলম, বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন মানিক, মো. আশরাফ উদ্দিন ফরহাদ, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, আক্তার আহমদ, সাহিবুর রহমান সুজান, সোহেল মাহমুদ, কয়েছ আহমদ, অলী চৌধুরী, এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরা, রায়হান আহমদ, আব্দুল্লা সাফি সাহেদ, ইসহাক আহমদ, জুনেদ আহমদ, জি এম বাপ্পী, মকসুদুল করিম নুহেল, জামিল আহমদ, মোজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মিজানুর রহমান নেছার, এমদাদুল হক স্বপন, উমেদুর রহমান উমেদ, মাহফুজ চৌধুরী, মতিউর রহমান আফজল, মইনুল ইসলাম মঞ্জুর, বাবলু সিং, আমিনুল ইসলাম আমিন।
উপজেলা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আবুল হাসনাত, ফজল আহমদ জনি, মাসুক আহমদ, আব্দুল কাদির জিলা, রুবেল আহমদ, হোসেন আহমদ দুলন, এডভোকেট শাহাজাহান সিদ্দিকী, সাজ উদ্দিন সাজু, বাহারুল আলম বাহার, আব্দুল করিম তাজুল, বাবর আহমদ রনি, সাজ্জাদ হোসেন দুদু, ছাব্বির রহমান রনি, আং আজিজ মুন্না, পারভেজ সিদ্দিকী, জাকওয়ান হোসেন, বাবুল হোসেন, মঈন খান, মেহরাজ হোসেন রাজু, মো. আলী লাহিন, মইনুল ইসলাম, আবুল ফজল জিহাদ, ফিরুজ আহমদ, আদনান আহমদ প্রমুখ।