মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একটি গোডাউন থেকে ৩ হাজার ২৫ কেজি অবৈধ চা পাতা জব্দ করা হয়েছে। একইসাথে অবৈধভাবে চা পাতা মজুদ ও নকল চা বাজারজাতকরণের অভিযোগে গোডাউন মালিককে ২ লক্ষ টাকার অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় চায়ের গোডাউন থেকে বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানির নকল মোড়ক, লেবেল ও স্টিকার উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীমঙ্গল সোনারবাংলা রোডের তানভীর টি হাউজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় নিলাম বহির্ভুত অবৈধ চা মজুদ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের চা প্যাকেটজাত করে অনুমোদনহীন ব্র্যান্ডে বিক্রয়ের অপরাধে শ্রীমঙ্গলের তানভীর টি হাউজকে দুই লক্ষ টাকার অর্থদন্ড করা হয়। বৈধ কাগপত্র না থাকায় সীমান্ত পথে আসা নিম্নমানের ভারতীয় ৩ হাজার ২৫ কেজি চা পাতা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চায়ের বাজার মূল্য ৬ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বলে জানান, চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রুহুল আমীন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন জানান, সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত তানভীর টি হাউজ থেকে বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ নকল চায়ের প্যাকেট এবং সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে আসা চোরাই চা জব্দ করা হয়। এছাড়া ৭টি চায়ের গুদামও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানের মালিক সমর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটি আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে নিলাম বহির্ভুত অবৈধ চা মজুদ এবং বিপণনের সাথে জড়িত। এতে একদিকে অস্বাস্থ্যকর নিম্নমানের চা ভোক্তাদের কাছে পৌছে যাচ্ছে অন্যদিকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। চায়ের অবৈধ ব্যবসা বন্ধে সারাদেশে এ ধরণের অভিযান চলমান থাকবে।