শেখ কামাল ও বঙ্গমাতার জন্মদিনে কেককাটা-আলোকসজ্জা হবে না

এবার বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিনে কেককাটা ও আলোকসজ্জা করা যাবে না।

আগামী ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম ও ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার ৯২ তম জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে উদযাপনের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান এ কথা জানান।

তিনি জানান, ‘ক’শ্রেণিভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও সরকার এ দু’টি দিনে কেক না কাটার ও আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা দিয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের সভায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্রের জন্মদিনকে সামনে রেখে সকল সরকারি অফিস ভবনে ড্রপডাউন ব্যানার টানানো, জন্মদিনে সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে স্থাপিত শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দোয়া মাহফিল, সকাল ১০টায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়।

বঙ্গমাতার জন্মদিনের কর্মসূচিতে থাকছে, আলোচনা সভা, অসচ্ছল নারীদের মধ্যে নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ এবং দোয়া মাহফিল। এছাড়া তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হবে।

প্রস্তুতি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো মামুনুর রশীদ, সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আবু মো ছিদ্দিকুর রহমান, আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো আব্দুল ওদুদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল শীল, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিতবরণ দাস গুপ্ত, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান ভূঞা প্রমুখ।

সভায় জানানো হয়, উপজেলা পর্যায়েও শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন উদযাপন করা হবে।