সারাদেশের ২৬টি জেলায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে আছে মৌলভীবাজারও। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ তথ্য জানান শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান। ঘন কুয়াশা ও মেঘলা আকাশ কেটে গেলে তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া কেন্দ্র।
এদিকে উপজেলায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে মেঘলা আকাশ। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। শ্রীমঙ্গলে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করছে।
শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল। সূর্যের তাপ না থাকায় শহর ও গ্রামাঞ্চলের লোকজনকে গরম কাপড় গায়ে দিয়েও কাঁপতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। মোটা গরম কাপড়ের অভাবে চা-শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের লোকজন বেশি কষ্টে আছেন। টানা কয়েক দিনের হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে মানুষ। দিন রাত সমান তালে বইছে কনকনে হিমেল হাওয়া। ঘর থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ফলে রাতে শীতের অনুভূতি বেশি হবে। এ ছাড়া মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। সকাল থেকে টুকরি-কোদাল কাঁধে নিয়ে শহরের দিকে এই শ্রমজীবীদের অনেকে আসছিলেন। রিকশা ও ভ্যান নিয়েও অনেকে পথে বের হন। প্রায় সবারই কান-মাথা চাদর, মাফলার দিয়ে মোড়ানো ছিল। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ভোগান্তি আরও বাড়ে।
হাইল হাওরের বাইক্কা বিল এলাকার হাসান আহমদ বলেন, দু-চার দিন ধরে অনেক ঠান্ডা লাগছে। এর আগে এত ঠান্ডা ছিল না। রাতের বেলাতেই বেশি ঠান্ডা লাগে। গাঢ় কাপড় ছাড়া চলা যায় না।
রিকশাচালক আবুল কালাম বলেন, ‘কনকনে ঠান্ডা পড়েছে। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ইনকাম না করলে খামু কী? ঠান্ডায় ভালো জ্যাকেটও নাই, বাধ্য হয়ে যা আছে তাই পরে বের হয়েছি।
প্রেমনগর চা বাগানের চা শ্রমিক জানান, কুয়াশা নেই। তবে কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই তারা চা বাগানে পাতা তুলতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার ৩৭ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল।
সূত্র : কালবেলা