সুনামগঞ্জের শাল্লায় একটি বাজারের দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত অপরজন হলেন হেলাল মিয়া (২৫)। এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেলে উপজেলার সাতপাড়া বাজারে এই সংঘর্ষ এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের শাল্লা, আজমিরিগঞ্জ ও হবিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে পুলিশ নয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাল্লার সাতপাড়া বাজারের একটি ভিটা (দোকানের জমি) নিয়ে পাশের গ্রাম কার্তিকপুরের মুজিবুর রহমান ও ইউসুফ মিয়ার লোকজনের মধ্যে বহুদিন ধরে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই দোকানের ভিটা দখল করতে যান ইউসুফ মিয়ার পক্ষের লোকজন। তারা সেখান দোকানঘর নির্মাণ শুরু করলে মুজিবুর রহমানের লোকজন বাধা দেন।
এ নিয়ে দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান (৫২) ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আজমিরিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু তার হয়। এছাড়া সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন হেলাল মিয়া নামের আরেকজন। তাঁকে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হেলাল মিয়া কার্তিকপুর গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
এদিকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের এসআই আলিম উদ্দিন আহত হন। পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে ৯ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়েছে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, দোকানের ভিটার দখল নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষ একজন নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ ঠেকানোর সময় আলিম উদ্দিন নামের একজন এসআই আহত হয়েছেন। পরে ৯ রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।