“শেখ রাসেল দীপ্তময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হগয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার (১৮ অক্টোবর) ১১টায় উপজেলা গণমিলনায়তনে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মঙ্গলবার শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেবের সভাপতিত্বে ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সজীব হাওলাদারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ (আল-আমিন)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শেখ রাসেলে কোনদিনও তার বাবার আদর পায়নি! কারন তিনি জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটিয়েছেন। শেখ রাসেল যখন তার মায়ের সাথে তার বাবার সাথে জেলে দেখা করতে যেতেন তখন তিনি জেলকে বলতেন এটা আমার বাবার বাড়ি এখানে আমার বাবা থাকেন। কারণ বঙ্গবন্ধু বহুবার জেল খেটেছেন ও জেলে তার বাবাকে দেখতে যেতেন।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নৃশংসভাবে সেই ছোট্ট রাসেলের বুকেও বুলেটের আঘাত দেন ঘাতকেরা। শেখ রাসেল প্রাণে বাঁচার জন্য ঘাতকদের কাছে অনেক কাকুতি মিনতি করেছিল কিন্তু ঘাতকদের দয়ামায়া লাগেনি।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার জেলে থাকায় ছোট শিশু শেখ রাসেল তার বাবার কথা ভুলে যেতেন। একাত্তরের ঘাতকদের বুলেটের শব্দে সেদিনের আযানের শব্দ ডাকা পড়ে যায়। ঘাতকদের নির্মম আঘাতে শেখ রাসেলের বুক ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যা খুবই হৃদয় বিদারক দৃশ্য ছিল। ঘাতকদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করা। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে ঘাতকেরা তাদের উদ্দেশ্যকে সফল করে ফেলে। ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন বক্তারা।
অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম,শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালাম,সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হান,বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র দাস,শাহীদ আলী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফ মাহমুদ দুলাল,গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিপাল দাস মিল্টন
সহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ রাসেলের কেক কেটে ৫৯তম জন্মদিন পালন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। দুপুর ১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২নং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অজয় তালুকদারের সঞ্চালনায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ (আল-আমিন), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চন্দ্র চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাস, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পিযুজ চৌধুরী সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ।