শাল্লায় যুবলীগের কর্মীসভায় দু-গ্রুপের হাতাহাতি

যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন পর শাল্লায় অনুষ্ঠিত হয়েছে যুবলীগের কর্মী সভা।

উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মীসভার অতিথি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হওয়ার আগেই যুবলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানান, যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের বাদ দিয়ে তাদের অবগত না করেই যুবলীগ নেতা হিমেল সরকার তার সমর্থকদের নিয়ে আলাদা মিছিল করেন। আলাদা মিছিল না করতে হিমেল সরকারকে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে ডাকেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা। তবে হিমেল সরকার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মানতে নারাজ বলে জানান তারা।

সিনিয়রদের নির্দেশ না মানায় পরে হিমেল সরকারের সমর্থকেরা ডাকবাংলোর ভেতরে ঢুকলে দু-গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে জেলার নেতৃবৃন্দরা উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দেন।

কর্মী সভায় জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যাড: দিপু রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সবুজ কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সীতেশ তালুকদার মঞ্জু, জেলা যুবলীগের সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু।

স্বাধীনতার পর থেকে এখনো শাল্লায় যুবলীগের ডকুমেন্টারি কোন কমিটি হয়নি উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা চাই শাল্লা উপজেলায় একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর কমিটি উপহার দেওয়া হউক।

বক্তারা বলেন, শাল্লায় দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের কোন প্রোগ্রাম হয়নি এটা খুবই দুঃখজনক। যুবলীগের পদ প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনারা স্বপ্ন পূরণের দারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। আপনাদের শাল্লা যুবলীগের কমিটি যেকোনো সময় অনুমোদন হতে পারে।

বক্তারা আরো বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ হাসিনা এদেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আজকের এই কর্মী সমাবেশ করতে পেরেছি। শেখ হাসিনা এদেশে এসেছিলেন বলেই এদেশে পদ্মা সেতু হয়েছে। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই এদেশের ভূমিহীনরা ভূমি পেয়েছেন। যুবলীগের কমিটিতে কোন সাম্প্রদায়িক ও চাঁদাবাজদের স্থান হবে না বলে জানান বক্তারা।

অন্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও যুবলীগ নেতা টিকেন্দ্র চন্দ্র দাস, যুবলীগ নেতা ফণী ভূষণ সরকার, রফিকুল ইসলাম রফিক, অরিন্দম চৌধুরী অপু, ফখরুল ইসলাম,হিমেল সরকার, লাল আমিন তালুকদার, সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।