খেলার মাঠে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে হলে গিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এ ঘটনায় এবার দুই গ্রুপই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে।
ঘটনার পর থানায় মামলা করার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান স্বাধীনের অনুসারী ফারদিন কবির জীম। থানা মামলা না নেওয়ায় ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন তিনি। এর ১০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পাল্টা মামলা করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে বিচারক মো. সুমন ভুইয়ার আদালতে মামলার দায়ের করেন রাউফুন জাহান মিলেনিয়াম।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা মৃন্ময় দাশ ঝুটনকে করা হয়েছে ১ নম্বর আসামি। ঝুটন ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। মিলেনিয়ামের ওপর হামলার হুকুমদাতা উল্লেখ করে ঝুটনকে আসামি করা হয়। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মী ফারদিন কবির জীম, মুহাইমিন হেলাল ইফাত, মেহেদী হাসান শুভ, মোস্তফা সাজ্জন, মেহেদী হাসান স্বাধীন (গ্রুপ নেতা), দীপ্ত রায়সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করেছেন।
এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সুমন ভূঁইয়ার আদালতে মামলার আবেদন করেন মেহেদী হাসান স্বাধীনের অনুসারী, ছাত্রলীগের কর্মী ফারদিন কবির। বিচারক সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
মামলার বিষয়ে রাউফুন জাহানের আইনজীবী আহমেদ ওবাইদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মারামারির বিষয়ে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে।
শাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তদন্তের বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি করেছে। সে কমিটির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ফারদিন কবির জীমের মামলার বিষয়ে তার আইনজীবী প্রবাল চৌধুরী পুজন বলেন, মামলার তদন্তের বিষয়ে জালালাবাদ থানার ওসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ওসি ভালো জানবেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, গত ১৩ ফেব্রুয়ারির ফারদিন কবিরের মামলার চিঠি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।