আগামী রবিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে সারা দেশের ন্যায় শান্তিগঞ্জ উপজেলায়ও শুরু হতে যাচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও মাদ্রাসায় সমমান দাখিল পরীক্ষা। মাদ্রাসায় ১টি পরীক্ষা কেন্দ্র, স্কুল পর্যায়ের ৩টি পূর্ণাঙ্গ ও ১টি সহকারি (সাব সেন্টার) পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে এ পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
কোনো রকমের আপত্তিকর ঘটনা ছাড়া পরীক্ষা গ্রহণ করতে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা কার্যালয় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে লোক সমাগম এড়াতে জনসচেতনতা তৈরিতে করা হবে মাইকিং। যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কেন্দ্রগুলোতে থাকবে পুলিশি নজরদারি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমস্ত উপজেলায় স্কুল পর্যায়ে ১৫টি ও মাদ্রাসা পর্যায়ের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
স্কুল পর্যায়ে পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ, জয়কলস উজানীগাঁও রশীদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও গণিনগর ষোলোগ্রাঁম উচ্চ বিদ্যালয়ে আছে পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা কেন্দ্র। নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হচ্ছে সাব সেন্টার। ১টি ফাজিল, ১টি কামিল ও ৪টি দাখিল মাদ্রাসার জন্য একমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র হচ্ছে আক্তাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসা।
উপজেলার শিক্ষা অফিস ও সকল কেন্দ্র সচিবদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবছরের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার মাদ্রাসা ও স্কুল মিলিয়ে ২১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ১৯শ ১৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। যা গত বছরের তুলনায় ১শ ৪৩ জন বেশি। এদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১৬শ ৫৬ জন। মাদ্রাসায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২শ ৬৩ জন। এসএসসি পর্যায়ে পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে মোট ৭৯৮জন, জয়কলস উজানীগাঁও রশীদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৩শ ৫৩ জন ও গণিনগর ষোলোগ্রাঁম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫শ ৫ জন (সাব সেন্টারসহ) শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছেন। আক্তাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২শ ৬৩জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিবেন।
আক্তাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার সুপার ও কেন্দ্র সচিব মঈনূল হক বলেন, ৬টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আমাদের এখানে এসে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা দিচ্ছে। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এবছর ২শ ৬৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। আশা করছি সুষ্ঠুভাবেই পরীক্ষাটি শেষ হবে।
পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব সৈয়দ রমিজ উদ্দিন ও গনিনগর ষোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. তদবীব আলম বলেন, ‘আমরা আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন অপেক্ষা শুধু পরীক্ষা গ্রহণের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের সহযোহিতাও পাচ্ছি। আশা করছি কোনো রকমের আপত্তিকর ঘটনা ছাড়াই পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারবো।’
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ করতে নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি। আমাদের পুলিশ ফোর্স কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ্ জামান বলেন, ‘পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষা কার্যালয়ের মাধ্যমে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশকেও জানানো হয়েছে। তারাও সহযোগিতা করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্র এলাকায় পরীক্ষা চলাকালীন সময় যেনো জনসমাগম, মিছিল, উচ্চস্বরে মাইক বাজানো বা কোনো লোকজন না যান সে জন্য আগামীকাল (আজ) মাইকিং করে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আর আমাদের তৎপরতা তো আছেই।’