শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ইশাকপুর গ্রামে দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন ইশাকপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন তেরাই (৪৫) নামে এক যুবক।
আটককৃত বুরহান উদ্দিন তেরাই উপজেলার দরগাপাশা ইউনিয়নের ইশাকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুরে বুরহান উদ্দিন তেরাইকে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৩১ মে) রাতে থানায় খবর আসে শান্তিগঞ্জ থানা এলাকার ইশাকপুর গ্রামের জুনু মিয়ার গোত্রের বুরহান উদ্দিন তেরাই তার বাড়িতে প্রতিপক্ষ যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বাহারের গোত্রের জামান উদ্দিনকে অস্ত্রসহ আটক করে রাখা হয়েছে এমন খবর প্রচার করেন। এই খবর পেয়ে বুধবার রাতে ইশাকপুর গ্রামে অভিযান চালায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ।
অভিযানকালে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ফোর্স সহকারে ইশাকপুর গ্রামের বুরহান উদ্দিন তেরাই এর বাড়িতে যান। এসময় থানায় খবর দেওয়া বুরহান উদ্দিন তেরাই আটক করে রাখা জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মর্মে থানা পুলিশের হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ও মোবাইল ফোন সুপর্দ করেন।
এসময় বুরহান উদ্দিন তেরাই তার বাড়িতে বেঁধে রাখা প্রতিপক্ষের জামাল উদ্দিনকেও পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পুলিশ আরোও জানায়, বুরহান উদ্দিন তেরাই’র কর্মকান্ড সন্দেহজনক মনে হলে থানা পুলিশ বুরহান উদ্দিন তেরাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই তিনি অসংগতিপূর্ণ কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে বুরহান উদ্দিন তেরাই পূর্ব বিরোধের কারণে জামাল উদ্দিনকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর জন্য এই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন বলে থানা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করাসহ আগে থেকেই দেশীয় তৈরী পাইপগান নিজ হেফাজতে রাখায় বুরহান উদ্দিন তেরাই সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে শান্তিগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুরহান উদ্দিন তেরাইকে আটক করে আলাদতে প্রেরণ করা হয়েছে।