লাখাইয়ে ‘পানিকচু’ আবাদে সফলতার আশা করছেন মৌসুমি শাকসবজি চাষে সফল কৃষক শাহজাহান মিয়া। বলতে শাহজাহান মিয়া এখন অনেক কৃষকের জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম।
উপজেলার শাকসবজি ও ফলমূল চাষের জন্য সুপরিচিত করাব ইউনিয়নের করাব গ্রামের মৌসুমি শাকসবজি চাষি শাহজাহান মিয়া লাউ, কুমড়ো, বরবটি, টমেটো, ডাঁটাশাক, লালশাক, শশা, আদা ও হলুদ চাষের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে তাঁর ১০ শতাংশ জমিতে বারি-৫ জাতের ‘পানিকচু’ আবাদ করেছেন। জমি তৈরি, চারা রোপন, সার ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার টাকার মতো। ফলনও হয়েছে আশানুরূপ। ইতিমধ্যে কচুর লতি বাজারজাত করণ চলছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া এ পানিকচুর প্রদর্শনী সরেজমিন পরিদর্শনকালে কৃষি গবেষণা বিভাগের সিলেট বিভাগীয় সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আলাপকালে শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আমি পানিকচু চাষসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষের ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বিভাগীয় কৃষি গবেষণা বিভাগের সহযোগীতা ও পরামর্শ পাচ্ছি। আমার কচুর ফলন আশানুরূপ হওয়ায় কাংখিত ফলন ও মুনাফা পাব বলে আশাবাদী। আশা করছি লতি ও কচু মিলে ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রয় করতে পারব।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, চলতিবৎসর লাখাইয়ে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্নরকম কচুর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুকিকচু, পানিকচুসহ বিভিন্ন ধরনের কচু। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাধ্যমে ৫টি কচুর প্রদর্শনী রয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কর্মকর্তা শাকিল খন্দকার জানান, ‘লাখাইয়ে ধানসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কচু চাষের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মাটি খুবই উপযোগী। তাই কচু চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রদর্শনী। দিন দিন শাকসবজি ও ফলমূল চাষের দিকে কৃষকদের আগ্রহ বহুলাংশে বেড়ে চলছে। এ ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সহ আমরা মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছি।’