রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে মাদক আসছে— এমন তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে। এই মাদক চোরাচালান বন্ধ করতে ক্যাম্পের ভেতরে এবং বাইরে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রবিবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মোবাইল ট্র্যাক করা হবে, যেন মোবাইল ব্যবহার করে তারা কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে।’
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শিগগিরই হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। প্রত্যাবাসনের জন্য আগে থেকেই সরকার যেভাবে চেষ্টা করেছিল, এখনও সেটা অব্যাহত আছে।’
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন–পীড়নের মুখে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এর পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গটি টেনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে নিতে চায়, সেটার বিস্তারিত দিক দেখা হচ্ছে। কীভাবে নেবে এবং কতজন নেবে; সেটা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’