রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
রুশ আণবিক শক্তি সংস্থার (রোসাটম) মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। রূপপুর প্রকল্পে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি এর আগেই সম্পন্ন করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল (আরপিভি) স্থাপনের মধ্যদিয়ে আরএনপিপির দ্বিতীয় ইউনিটে বড় ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হবে। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিতীয় ইউনিটে অবকাঠামোতে আরপিভি স্থাপনের মধ্যদিয়ে সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন কাজ শেষ হবে।
প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে প্রথম ইউনিটের ৭৫ ভাগ ভৌত-অবকাঠামো কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেয়ায় এখানে রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপন হচ্ছে।
২০১৪ সালের অক্টোবরে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা আনবিক শক্তি কমিশন রোসাটমের সহযোগিতায় এর নির্মাণ কাজ চলছে গত ৮ বছর ধরে। করোনা মহামারিতেও দেশি বিদেশি ২২ হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করেছেন প্রকল্পে।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬৫ কোটি ডলার। যার ৯০ ভাগ ঋণ হিসেবে দিয়েছে রাশিয়া। এ প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে সবশেষ পরমাণু সুরক্ষা প্রযুক্তি, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা যাবে শতভাগ।
সবশেষ প্রযুক্তির ব্যবহারে দুই ইউনিটে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। রূপপুরের প্রথম ইউনিটে স্থাপনের একবছরের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটে চুল্লী স্থাপন করা হচ্ছে।