‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা’

আজ রক্তাক্ত বিভীষিকাময় ২১ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। একটি নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার ১৮তম বার্ষিকী আজ। দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা থেকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান ওই নৃশংস হামলায়। আহত হন অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ আজ শ্রদ্ধাবনতচিত্তে ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকী পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ রোববার (২১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন মানিক। প্রতিবাদ সভার শুরুতে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ, অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অ্যাডভোকেট শাহ মো. মোসাহিদ আলী, নাজনীন হোসেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, সিলেট জেলা মহিলা লীগের সভাপতি সালমা বাছিত, সিলেট জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, সিলেট জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন দেব নাথ, সিলেট জেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল কান্তি দাস, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের আজকের এই দিনে রাজধানী ঢাকার বুকে আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাবেশে চালানো হয় নজিরবিহীন হত্যাযজ্ঞ। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করেছিল মানবতাকে। শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসে নিজেই সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সংঘটিত হয়। ওই গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও তৎকালীন সরকারের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে বিচারের রায় কার্যকর করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী দুলাল, কবীর উদ্দিন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আলম রুহেল, অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমল আলী, কোষাধ্যক্ষ শমসের জামাল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. মবশ্বির আলী, দফতর সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম সামসুন্নাহার মিনু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ সাকির আহমদ (শাহীন), উপ-দফতর সম্পাদক মো. মজির উদ্দিন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আবদাল মিয়া, অ্যাডভোকেট বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম, মো. আব্দুল বারী, মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মনসুর রশীদ, আবুল লেইছ চৌধুরী, ডা. নাজরা আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট খোকন কুমার দত্ত, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শামীম রশিদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, সিলেট জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েছ, সিলেট জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সিলেট জেলা সিলেট জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নবী হোসেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রমুখ।

এছাড়া প্রতিবাদ সভায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।