
খালেদা জিয়ার মামলার রায় দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ রায়ের ফলে দেশে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হলো। মানুষের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থাও চলে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি শুক্রবার ও শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এর আগে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ রায়কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাত্মক বলে উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজ জুমার নামাজের পর ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও বিভিন্ন ইউনিটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। এ ছাড়া আগামীকাল ঢাকা মহানগরসহ সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা ও ইউনিটগুলোয় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, গণবিচ্ছিন্ন সরকার রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখার জন্য ভুয়া ও মিথ্যা মামলা ও নথি তৈরি করে সাজা দিয়েছে। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি জানান তিনি।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, রায়ের সত্যায়িত কপি হাতে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কপি পেলে আগামী রোববারই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল এবং জামিন চাওয়া হবে।
সাজার কারণে খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, চূড়ান্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান রুহুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় উপস্থিত বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নিলুফার চৌধুরী মনি, বেবী নাজনীন, অর্পণা রায়সহ অন্যদের কাঁদতে দেখা যায়।