মৌলভীবাজারের রাজনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য প্রকাশিত ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিকে অগঠনতান্ত্রিকভাবে গঠন ও জামায়াত-বিএনপি মদদপুষ্ঠ দাবি করে সেটি প্রত্যাখান করেছেন এই কমিটিতে থাকা উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা।
তৃণমূলের নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় প্রাঙ্গনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, গত ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর সম্মেলনে সভাপতি পদে মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই মিয়া থাকলেও ২০২১ সালের ২৪ মার্চ তার মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়ে যায়। জেলা আওয়ামী লীগের স্বাক্ষরিত কমিটির প্যাডে ২০২১ সালের ২৭ মে উল্লেখ থাকলেও প্রায় দেড় বছর পর এই কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তারিখে কমিটি গঠন হয়ে থাকলে বর্তমান সভাপতি উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও দলের সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে শোক দিবসসহ একাধিক দলীয় কর্মসূচি পালন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা।
সম্মেলনের মাধ্যমে শূন্যপদ পূরণ করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা থাকলেও তা পালন না করে অগঠনতান্ত্রিকভাবে আজাদ মিয়া চৌধুরীকে সভাপতি করা হয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়।
এছাড়া এই কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত, জাসদ, আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত পরিবারের লোকজনকে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। সদ্য প্রকাশিত কমিটি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগের নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার দাবি জানানো হয়।
এসময় বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান খান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য টিপু খান, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী, নিবারণ ঘোষ ভজন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়েস আহমদ, ছয়ফুল আলম, আবু মিয়া, শওকতুজ্জামান, ফজর আলী, গোলাম কিবরিয়া মিলন সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য লুৎফুর রহমান লেবু, এম. সোহেল আলম প্রমুখ।