অকাল প্রয়াত যুব রাজনীতিবিদ যুব ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মইনুদ্দিন আহমদ জালালের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বৃক্ষ রোপণ, খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, বিভিন্ন আয়োজনে পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুরস্থ নিজ বাসভবন জালাল অন্তরে মৃত্যুর ৬০ মাস পূর্ণ হওয়ায় তাঁর স্মারণে ৬০টি ফলজ ও ঔষুধি বৃক্ষরোপণ করা হয়। বাদ আসর পারিবারিকভাবে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও শিরণী বিতরণ করা হয়। এর আগে প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মইনুদ্দিন আহমদ জালালের গ্রামের বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ধরাধরপুরে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এসময় কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু ইমাম, জাসদ নেতা সোলেমান আহমদ, অ্যাডভোকেট ইশফাক বখত কচন, সিলেট কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমর বিজয় সী শেখর, সিপিবি সিলেটের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, সিপিবির সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল হাসান, নারী উদ্যোক্তা সেলিমা সুলতানা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও প্রয়াতের সহধর্মিণী ড. নাজিয়া চৌধুরী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, অধ্যাপক কাজী সাইফুল আচপিয়া, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, সাংবাদিক আজহার উদ্দিন শিমুল, ব্যবসায়ী নেতা সোহাগ তাজুল আমিন।
বৃক্ষরোপণের শুরুতে অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী জানান, মইনুদ্দিন আহমদ জালালের জীবনের শেষ বছরটি কেটেছিলো প্রকৃতির সান্নিধ্যে থেকে। গাছকে ভালোবেসেছেন সন্তানের মতো। ৪/৫ দিন পরপর নিজ হাতে লাগানো গাছ দেখে অভিভূত হয়ে যেতেন। তাঁর চলে যাবার ৫টি বছর হয়ে গেলো। সত্যি বলতে এর মধ্যে আমি ‘জালাল অন্তরে’ কোনো বড় গাছ লাগাই নি। তাই ভাবলাম এবার এক সাথে ৬০টি গাছ লাগিয়ে ফেলবো। মাত্র ৩ দিনের পরিকল্পনায় আজ তাঁর প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে কমলা, বারী মালটা, কাঁঠাল, জাম, লিচু, লুকলুকি, নিম, নারিকেল, মেহগনি, আমড়া, বাতাবি লেবু গাছ লাগানো। এই আয়োজনে তাঁর প্রিয়জনেরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর ভারতের শিলং সফরে গিয়ে আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
জীবদ্দশায় বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট জেলা সংসদের সাবেক সভাপতি এবং আন্তর্জাতিক নদী অধিকার বিষয়ক সংগঠন অঙ্গীকার বাংলাদেশের পরিচালক মইনুদ্দিন আহমদ জালাল ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত এক কর্মী।
তিনি সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যুব-আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। পৃথিবীর ৩২টি দেশে ৬২টি আন্তর্জাতিক যুব উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।