কয়েকটি সামরিক ও বেসামরিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রতিক্রিয়ায় এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বেইজিং।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (০৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছে।
মন্ত্রণালয় এমন এলাকার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে চীনা ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে আর যোগাযোগ থাকবে না। এতে থিয়েটার কমান্ডার স্তরে সামরিক যোগাযোগ এবং বৃহত্তর প্রতিরক্ষানীতি সমন্বয় আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা, ফৌজদারি বিষয়ে আইনি সহায়তা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াই এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করা হবে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণ রাজনীতিক পেলোসি এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা দেয় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বেইজিংয়ের আপত্তি সত্ত্বেও পেলোসি চলতি সপ্তাহে তাইওয়ান সফর করেন। স্বশাসিত দ্বীপটিকে চীনের অংশ হিসেবে দাবি করা। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭০-এর দশক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এক চীন নীতি স্বীকার করে আসছে।
বেইজিংয়ের কূটনৈতিক স্বীকৃতি পরিবর্তন করার পরও ওয়াশিংটন তাইপেইয়ের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কয়েক বছর ধরে আমেরিকান প্রশাসন তাইওয়ানের সরকারকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দেখে আসছে।
বেইজিং বলছে, ওয়াশিংটন ইচ্ছাকৃতভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করছে এবং তাইওয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উৎসাহিত করছে।
যদিও হোয়াইট হাউস পেলোসির থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছিল। দাবি করেছিল, এটি তার স্বাধীন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তারা পরিণতির হুমকিও দিয়েছিলেন। তবে শেষমেশ সব জল্পনা উড়িয়ে তাইওয়ান সফর করেন পেলোসি।
জবাবে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তাইওয়ানের চারপাশে বড় মহড়া শুরু করেছে। একে চীনা মিডিয়া পূর্ণ অবরোধের মহড়া হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাইওয়ানের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে বেইজিং।