মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর জলিল হত্যা মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- ছিনু মিয়া, সুমন মিয়া, রাসেল মিয়া, পারুল মিয়া, ইয়াছিন মিয়া ও তার ছেলে কামরুলসহ ৭ জন। এদের মধ্যে প্রধান আসামি ইয়াসিন ও তার ছেলেকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উপজেলার চাটেরা গ্রামের মসজিদ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে খুন হয়েছিলেন আব্দুল জলিল (৬০)। এটি ছিল এলাকার আলোচিত হত্যাকাণ্ড।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেই আব্দুল জলিল হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় আত্মগোপনে থাকা ছিনু মিয়া, সুমন মিয়া, রাসেল মিয়া এবং পারুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অঞ্জন কুমার দাশের নেতৃত্বে ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ পাল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হক ফোর্সসহ জুড়ী থানার একটি চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জুড়ী থানার অপর একটি দল উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ মিয়ার নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহি উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামাল সঙ্গীয় ফোর্সসহ বড়লেখা উপজেলা থেকে অভিযান চালিয়ে বাকি ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চাটেরা গ্রামে মসজিদের টাকা নিয়ে বিরুদ্ধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল জলিল নিহত হন। ঘটনার পরদিন জুড়ী থানায় মৃত মজর আলীর ছেলে ইয়াছিন মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ প্রধান আসামি ইয়াছিন মিয়া ও তার ছেলে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
পুলিশ জানায়, হত্যা মামলার ২ জন আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এমন দুঃসাহসিক অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। সব অপরাধীদের ব্যাপারে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।