মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার পিটুনিতে এক ডাকাতের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক হয়েছে আরও তিনজন।
উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ‘নুরজাহান’ চা বাগানে রোববার রাত পৌনে ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজী জানান।নিহত ৪৫ বছর বয়সী আলাল মিয়া সিলেটের মোগলাবাজার থানার গোটাটিকর গ্রামের সোনাফর আলীর ছেলে।
আটক তিনজন হলেন-কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের লংগুরপার গ্রামের আরজদ আলীর ছেলে সেজুল মিয়া (৩৭), ইসলামপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল মালেক (৪১) ও শ্রাবণ মিয়ার ছেলে জাসিম মিয়া ওরপে জসিম (৩৮)।পুলিশ বলছে, আটক ডাকাতদের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। ‘জনরোষ থেকে বাঁচাতে’ দুই ডাকাতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাধবপুর ইউপি সদস্য ছালেহ আহমদ বলেন, “১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল তার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় তাদের এলাকার চা-বাগানের নৈশপ্রহরীরা ‘পাগলা ঘণ্টা’ বাজান। তখন আশপাশের লোকজন গিয়ে ডাকাতদের ঘেরাও করলে ডাকাতরাও পাল্টা হামলা করতে যায়।“এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধরে পিটুনি দেয়। এতে আলাল মিয়া মারা যান।”
তিনি বলেন, পরে ডাকাতদলের বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর ভোরে ‘রক্তের ছাপ’ দেখে চা বাগানের ভেতর থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য আব্দুল মালেককে তীরবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজী বলেন, “পিটুনিতে গুরুতর আহত আলাল মিয়া রোববার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসা বাকি ডাকাত সদস্যরা লংগুরপাড় গ্রামের অবস্থান করছে গোপন সংবাদে সেখানে অভিযান চালিয়ে সেজুল মিয়াকে আটক করা হয়।
“এরপর কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানের সেকশন থেকে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় জাসিম মিয়াকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয় চা শ্রমিকরা।”এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।