সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সিলেট-২ আসন থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ১৪ জন প্রার্থী। তারমধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হছে। বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই শেষে মোকাব্বির খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে জানানো হয়, মনোনয়নপত্রে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি হিসেবে নিজেই সাক্ষর করেছেন মোকাব্বির খান। তবে তিনি যে দলটির নির্বাহী সভাপতি এবং তার স্বাক্ষরেই মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দ হবে তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে উপস্থাপন করতে না পারায় বাতিল হয় তার মনোনয়ন।
এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ‘আমি যে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন অবগত আছে। তাদের সাথে আলাপ করেই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। আমি এখন ঢাকায় যাচ্ছি। কমিশনে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।’
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, দল হিসেবে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে কোন্দলের মুখে রয়েছে গণফোরাম। নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় ইতিমধ্যেই দলটির সভাপতি মফিজুল ইসলাম খানকে অপসারণ করা হয়েছে।
জানা যায়, দলটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমানসহ দলের বেশিরভাগ নেতাই নির্বাচন বর্জনের পক্ষে। দলীয় ফোরামে এটি আলোচনার পর সেই সিদ্ধান্ত না মেনে দলটির সভাপতি মফিজুল ইসলাম খান কামাল, মোকাব্বির খানসহ ৯ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এরপরই দলীয় তলবি থেকে মফিজুল ইসলাম খান কামালকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা সমীচিন হবে না। জাতীয় সংলাপের মধ্যদিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির কথা আমরা বলেছিলাম। এটা করলে আমরা নির্বাচনে যেতাম।
তিনি বলেন, যেখানে মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের স্বাক্ষরের অথরিটি দলের সাধারণ সম্পাদকের, কিন্তু মফিজুল ইসলাম খান কামাল দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তিনি নিজেই স্বাক্ষর করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এজন্য দলের তলবি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়।