বুধবার (৩ মে) পর্যন্ত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ১৭৩ জন। এদের মধ্যে মেয়র পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাসহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দুই প্রার্থী। আর সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে এ পর্যন্ত ১৭১ জনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সিলেট সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের স্টাফ কর্মকর্তা ও জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেয়র পদে মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু মঙ্গলবার (২ মে) এবং অপর প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বুধবার (৩ মে) মেয়র পদের প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু ৯০ দশকের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে এ পর্যন্ত ৪০ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হতে ১৩১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। রিটানিং কর্মকর্তার দফতরের দেওয়া তথ্য মতে, সংরক্ষিত ১ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন, ২ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন করে, ৩ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ জন করে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ৫.৬.৮ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন।
আর সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে সাধারণ ১.১২.১৪.১৭.২৩.২৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে, ৩.৪.৫.৭.১১.১৩.১৮.২১.২৮ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে দুইজন করে, ৬.৮.৯.২৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে, ১০.১৫.২৭.৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন করে, ২২ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছয়জন করে, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ জন, ৩১.৩৯ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচজন করে, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন, ৩৪ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে আটজন করে, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়।
প্রথম দিনে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। এরপর শুক্রবার ও শনিবার মনোনয়নপত্র বিক্রি বন্ধ ছিল। রোববার (৩০ এপ্রিল) ফের মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়। পরদিন পহেলা মে বন্ধ থাকার পর ফের মঙ্গলবার ও বুধবার (২ ও ৩ মে) মনোনয়নপত্র বিক্রি করা হয়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন এবং আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে।