মেট্রোরেল চালু : স্বপ্ন হলো সত্যি, অবসান ঘটলো প্রতীক্ষার

স্বপ্ন সত্যি হলো, অবসান ঘটলো প্রতীক্ষার। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা-৫ মিনিটে বহুল প্রতীক্ষিত ও দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ফলক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী টিকিট কেটে প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠবেন। ট্রেনে ওঠার আগে তিনি উত্তরায় মেট্রোরেল সংলগ্ন মাঠে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।

ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা ১৮ আসনের এমপি হাবীব হাসান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী, ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকার বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইচিগুচি তমুহিদে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক।

এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। ফলক উন্মোচন শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মিজানুর রহমান মোনাজাত পরিচালনা করেন। ফলক উন্মোচন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বোনসহ অন্যদের নিয়ে মঞ্চে বসেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতকর্মীরা সুধী সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই উত্তরা উত্তর স্টেশনের আশপাশে জড়ো হন এবং স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলের স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এ মেগা প্রকল্পটির অনুমোদন দেন। ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল লাইন (উত্তরা-মতিঝিল) নির্মাণ কাজ ২৬ জুন ২০১৬ সালে শুরু হয়। আজ এ লাইনের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন হলো।

জনসাধারণের জন্য স্বপ্নের এই বাহনের দ্বার খুলবে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। আপাতত সীমিত যাত্রী নিয়ে চলবে। যাতে যাত্রীরা ১০ মিনিটেই এই পৌনে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন।

মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, জনগণের স্টেশনে পরিচিতি ও ট্রেন ব্যবহারে অভ্যস্ততা গড়ে তুলতে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশনেই থামবে ট্রেন। চলাচলকারী ছয় কোচ যুক্ত ১০টি ট্রেনই তার পূর্ণ সক্ষমতার ২৩০৮ জন যাত্রী নিয়ে চলবে।