যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কয়ছর এম আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য স্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করেও দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। আওয়ামীলীগ সরকার দ্বারা সব থেকে বেশী নির্যাতিত ব্যক্তি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া ও দেশ নায়ক তারেক রহমান। সুদীর্ঘ ১৭ বছর দেশ নায়ক তারেক রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্বে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের দেশে বিদেশে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে।’
রোববার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৪ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা গ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি দেশ নায়ক তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমাদের নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। অন্তর্তীকালীন সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক নাগরিক নিজ ভোট তার পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে জনগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলাবাসীকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘আপনারা শান্তিগঞ্জবাসী কি বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ে শান্তিতে ছিলেন? পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আমাদের আসনের সাবেক সাংসদ সাহেব গ্রেপ্তারের পর বলেছেন তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো, তিনি নাকি কিছুই জানেন না, হাস্যকর কথাবার্তা। এরচেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে? আপনি জানেন না, আপনার পরিকল্পনায় মেগা প্রকল্পগুলো পাশ হয়েছে? এই প্রকল্পগুলো থেকে মেগা লুটপাট করেছে লুটেরার দল। এই লুটপাটে আপনিও জড়িত ছিলেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ শে ভোট চুরির মাধ্যমে আপনি ক্ষমতায় এসেছেন। তারপরও কি বলবেন, আপনি নির্দোষ? আপনি সব কিছুই জানেন, সব কিছুই আপনার দ্বারা সম্ভব হয়েছে। তাই আপনিও ছাড় পাবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এদেশের বৈধ নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও নিজের জন্মভূমিতে আসতে পারিনি। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সরকার আমাদের পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছিল। দীর্ঘ একযুগ এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে দেখা সাক্ষাত ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে আসতে দেয়নি। আমাদেরকে জন্মভূমি থেকে দূরে রেখেছিল।’
শান্তিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সহ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নুর আলীর যৌথ সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন, সহ-সভাপতি ফারুক আহমদ, সহ-সভাপতি এড. মনির মল্লিক মঈনুদ্দিন সোহেল, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা এম এ রউফ, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আনিসুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি আবুল মনসুর শওকত, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এড. শাহিন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা সুজাত হোসেন, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির উপদেষ্টা রেজাউল করিম জায়গীরদার রাজা, লন্ডন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ রব, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, সিলেট মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদ, জগন্নাথপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুর মতিন, জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মুকিত, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কয়েছ আহমদ, মদনমোহন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলাল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গির আলম, সদস্য সচিব তারেক মিয়া, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শিহাব খাঁন সহ প্রমুখ।