দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এখন উত্তপ্ত দেশের রাজনীতির মাঠ। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ আর বিএনপির নেতারা প্রায় প্রতিদিনই একে অন্যকে ঘায়েল করার জন্য পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। কদিন আগেই নোয়াখালীতে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সেখানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এবার নিজ জেলা নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে তারই কড়া জবাব দিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি সজ্জন। কিন্ত কথাবার্তায় বড় বেসামাল। তিনি কলেজ শিক্ষক, এতো মিথ্যা কথা বলতে পারেন, এতো গালিগালাজ করতে পারেন। তার মুখে এতো বিষ ভাবতেও অবাক লাগে।
রবিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উনাকে দেখতে মনে হয় একজন পাকা সাচ্চা ভদ্রলোক। কিন্ত কথা যখন বলেন তখন মনে হয় একজন প্যাথলজিকাল লায়ার। এই মিথ্যাবাদী এখন বলেন তত্ত্বাবধায়ক আসলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০টি আসনও পাবে না। ২০০৮ সালে এই ফখরুল এবং তার নেত্রী বলে আওয়ামী লীগকে মাত্র ৩০টি আসন দিয়েছি। কিন্ত নির্বাচনে দেখা গেল ৩০টি আসন বিএনপিই পেয়েছে। তারা যেটা আওয়ামী লীগকে দিতে চেয়েছে আল্লার হুকুম সে ৩০টি তাদের ভাগ্যে জুটেছে। এবার যে কি হবে জানি না। তারা এবার আরও বেপরোয়া বেসামাল। ফখরুল লন্ডনের হুকুমে চলেন। যে দণ্ডিত আসামি অর্থপাচার করে মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। যে দলের নেতা দণ্ডিত আসামি, সেই দল এই দেশের মানুষ সমর্থন করতে পারে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ভোট কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে নেতাকর্মীদের মওদুদ বলেছিলেন ভোট কি এখনো শেষ হয়নি। বিএনপি বাংলাদেশে এ রকম ভোট করেছে। ভোট চুরি,ডাকাতি করেছে।
বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন।