মিয়ানমার সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় বিজিবি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এর আগে যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের ‘অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ অন বাংলাদেশ’ এর ভাইস-চেয়ার লেবার পার্টির এমপি বীরেন্দ্র শর্মার নেতৃত্বে ৪ জন এমপিসহ ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মন্ত্রী।

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র স্থায়ী সমাধান। তারাও আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। কিছুদিন আগে ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, সেটিও আজকের বৈঠকে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাখাইনে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে দেশের অবস্থান প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এই উত্তেজক পরিস্থিতি কিছু দিন ধরেই চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছেন। আমরা এ বিষয়ে সবসময়ই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে যদি মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাধ্য হবে।

নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিপুল সংখক রোহিঙ্গার কারণে ইতোমধ্যেই আমরা ভারাক্রান্ত। প্রতিবছর ৩৫ হাজার করে রোহিঙ্গা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। মানবিক কারণে তখন আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি, মিয়ানমারের পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।