হবিগঞ্জের মাধবপুরে রাস্তার অভাবে প্রায় গৃহবন্দী ৬টি পরিবার। ভুক্তভোগী ওই পরিবার গুলো বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি। অবশেষে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
বুধবার ( ৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আফজলপুর গ্রামে ভুক্তভোগীর বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মাধবপুরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী মোঃ মারুফ মিয়া বলেন, মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের আফজলপুর গ্রামের আব্দুল মোতালিব মিয়াসহ ৬ টি পরিবারের লোকজন পার্শ্ববর্তী বাড়ির সামসুল হকের বাড়ির পুকুর পাড়ের উত্তর দিকের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো। সম্প্রতি সামসুল হক রাস্তার পাশে ঘর নির্মাণ শুরু করলে আব্দুল মোতালিবের ছেলে মোঃ মারুফ মিয়া বাধা দেন। কিন্ত সামসুল হক বাধা না মেনে ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এই ঘটনায় মোঃ মারুফ মিয়া ২০২৩ সালের ৬ মার্চ মার্চ মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরদিন ৭ মার্চ মাধবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।
পরবর্তীতে মোঃ মারুফ মিয়া বাদি হয়ে হবিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট আদালতে একটি দরখাস্ত মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই জায়গায় শান্তি শৃঙ্গলা বজায় রাখার জন্য ও তদন্ত প্রতিবেদন দিতে মাধবপুর থানার ওসি-কে নির্দেশ প্রদান করেন, সেই সাথে সহকারী কমিশনার ( ভুমি)-কে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে মাধবপুর থানার ওসি ওই জায়গায় শান্তি শৃঙ্গলা বজায় রাখার জন্য মাধবপুর থানার অন্তর্গত মনতলা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সুমন মিয়াকে দায়িত্ব দেন। সুৃমন মিয়া উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও সামসুল হক ও তার লোকজন ঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। রাস্তা বন্ধ করে সামসুল হক ও তার লোকজন ঘর নির্মাণ করায় ৬ টি পরিবার প্রায় গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছে। তারা অন্যের বাড়ির উপর দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।
তবে এই বিষয়ে সামসুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুকুরটি তার নিজের। এতদিন মারুফ ও তাদের বাড়ির লোকজন পুকুরের পাড় দিয়ে চলাফেরা করত। এটা রেকর্ডকৃত রাস্তা না।