মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেছেন, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতির চেতনায় ঐক্যবদ্ধ না হলে সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকটে পড়বে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে হলে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৯৭১ সালে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী-নির্বিশেষে সর্বস্তরের বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গনতন্ত্র, অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতা পরবর্তিতে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে দেশের অভ্যন্তরে ও বাহির থেকে নানামুখি অপতৎপরতা ছিল। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়লেই সেটাকে আমরা প্রকৃত উন্নয়ন বলি না। মানুষে মানুষে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে অবিশ্বাস থাকলে, বিদ্ধেষ থাকলে একটি দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না।
গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে সিলেটের টিলাগড়স্থ শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়া প্রাঙ্গনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনুদান প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়া কমিটির সভাপতি কংকন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক হিমাদ্রী কর পুরকায়স্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ২৬শে টিভির সত্বাধিকারী সাংবাদিক জামাল আহমেদ খাঁন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের প্রচার সম্পাদক মো. আয়াছ, যুক্তরাজ্য যুবলীগ নেতা জাবেদুর রহমান চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়া কমিটির সহ-সভাপতি সুমেন্দ্র চন্দ্র সরকার, সহ-কোষাধ্যক্ষ রিপন চন্দ্র পাল, দিপক রায়, পিন্টু রায়, দিপক চন্দ, রমা কান্ত দেব, মিঠু তালুকদার, অর্জুন দেব অমু, সত্যজিৎ দত্ত, জীবন শুভ্র সরকার, সমি সরকার প্রমুখ।
পরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী যুবলীগ নেতা ও কমিউনিটি সংগঠক অজিত লাল দাশের উদ্যোগে অলক দাশ, বিমল রায়, মো. সাইফুল ইসলাম হেলাল, মো. আয়াছ ও সৌরভ দত্তের আর্থিক সহায়তায় শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আখড়ায় ফ্যানসহ আসবাবপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম