‘ভোরের কাগজ’র বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ভোরের কাগজের প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী, সম্পাদক শ্যামল দত্ত ও বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় ১০ কোটি টাকার মিথ্যা মানহানি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) বিকেল ৪টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচিতে সিলেটের গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সিদ্দিকী। ভোরের কাগজের সিলেট ব্যুরো চিফ ফারুক আহমদের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রশিদ রেনু, বাকবিশিস সিলেট মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক অজয় কুমার রায়, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল হান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক খালেদ আহমদ, সিলেটের ডাক পত্রিকার চিফ রিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম, প্রথম আলোর সিলেট ব্যুরো সুমন কুমার দাস, দৈনিক উত্তরপূর্বের প্রধান প্রতিবেদক তালুকদার আনোয়ারুল, সিনিয়র সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন জিলন, দৈনিক জৈন্তাবার্তার বার্তা সম্পাদক খালেদ আহমদ, ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম সিলেটের সভাপতি অমিতা বর্ধন, সহ-সভাপতি হিমাংশু রায় হিমেল, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মিহির মোহন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া, পাঠক ফোরাম সিলেট পরিবারের সদস্য হীরা মোহন রায়, শুভ্রা গুপ্ত, আব্দুর রহমান, আজাদ মিয়া, হেলাল আহমদ, ভোরের কাগজের সিলেট অফিসের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুল ইসলাম, দৈনিক স্বাধীন বাংলার সিলেট প্রতিনিধি আবুল কালাম কাওছার, দৈনিক জৈন্তাবার্তার স্টাফ রিপোর্টার শাহীদ হাতিমী, ভোরের কাগজের বিশ্বনাথ উপজেলা প্রতিনিধি বদরুল ইসলাম মহসিন, ফটো সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম, পল্লব ভট্টাচার্য, ফারহান আহমদ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ভোরের কাগজ বাংলাদেশে মুক্ত সাংবাদিকতার পথ প্রদর্শক। সম্পাদক শ্যামল দত্তের মতো প্রতিথযশা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা মূলত মুক্ত সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার একটি অপচেষ্টা মাত্র।

তারা বলেন, তিন দশকের বেশি সময় ধরে ভোরের কাগজ দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক। বস্তুনিষ্ঠ, তথ্য-প্রমাণসমৃদ্ধ সংবাদ প্রকাশের জন্য ভোরের কাগজ বরাবরই সমাদৃত। ভোরের কাগজের সম্পাদক-প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হেয় করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বক্তারা অবিলম্বে ভোরের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।