সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার সদরের কেন্দ্রীয় শহিদমিনার ভেঙে পড়েছে পুকুরের পানিতে। দীর্ঘদিন ধরে শহিদমিনারের মূল স্তম্ভে ফাটল দেখা দেয় এবং নীচের মাটি ধসে পড়ছিল। এটি হুমকির মুখে পড়লেও সংস্কারের কোনো উদ্যাগ নেওয়া হয়নি।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহিদমিনারটি ধসে পুকুরে পড়ে যায়। স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা অবিলম্বে ওই জায়গায় নতুন শহিদমিনার নির্মাণের উদ্যাগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের ডাকবাংলো সড়কের জেলা পরিষদের পুকুরপাড়ে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর একটি শহিদমিনার নির্মাণ করে জাতীয় দিবসসমূহ উদযাপন করা হয়। ২০১৩ সালের সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এনামুল কবির ইমন ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরাতন শহিদমিনারটি ভেঙে নতুন শহিদমিনার নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এই শহিদমিনারে ফাটল দেখা দেয়। অবশেষে গতকাল শহিদমিনারের মূল বেদির অংশ পেছনের পুকুরে ধসে পড়ে।
ডাকবাংলো সড়কের ব্যবসায়ী আফু মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় শহিদমিনারটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে ছিল। আমরা এটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলাম। সংস্কার না হওয়ায় এটি ধসে পড়েছে। দ্রুত নতুন শহিদমিনার নির্মাণ করার জোর দাবি জানাই।
জগন্নাথপুর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য কামাল উদ্দিন বলেন, অনেকদিন ধরেই পুরাতন শহিদমিনারের জায়গায় একটি নতুন শহিদমিনার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক জানান, জগন্নাথপুরের প্রধান এই শহিদমিনারে জাতীয় সকল দিবসে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়া নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এখানে হয়ে আসছিল। দ্রুত শহিদমিনার নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, নতুন শহিদমিনার নির্মাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।