বাংলাদেশের ইয়ুথ ডেলিগেশন টিম শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে সাক্ষাৎ করেছে।
এ সময় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উদ্দেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, আপনারা সবাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা। শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত ও বাংলাদেশের অনন্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ। আপনারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য আগামী বছরগুলোতে বড় ভূমিকা পালন করবেন।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের গতি অব্যাহত থাকায় এই সফর গুরুত্বপূর্ণ। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। এই চেতনাকে রক্ষা করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করে।
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলা ইত্যাদি বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যেমন সোনার বাংলা গড়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে, তেমনি ভারতের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সুবর্ণযুগের সূচনা করার জন্য তাদেরও একই আবেগ ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করা উচিত।
গত বুধবার (১২ অক্টোবর) সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, চিকিৎসক, শিল্পী ও প্রকৌশলীসহ বাংলাদেশের ১০০ যুব প্রতিনিধিদের একটি দল নয়াদিল্লি পৌঁছায়। স্থানীয় সময় বেলা ২টায় নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাদের বহনকারী বিমানটি। বিমানবন্দরে যুব প্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ভারতের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রাম’ ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে। এ বছর বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেটদের ভারত সফর আয়োজন হিসেবে অষ্টম। এবার ঢাকার বাইরে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে প্রথম ডেলিগেট বাছাইয়ের জন্য অডিশন হয়েছে। এ প্রক্রিয়াটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।