সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি বলেছেন, নারী আন্দোলনের পৃথিকৃত বেগম রোকেয়া। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অধিকার ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বেগম রোকেয়ার অবদান ও নারী জাগরণের অগ্রযাত্রায় অন্তহীন প্রেরণার উৎস।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রদূত। দেশের নারী সমাজ প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করছেন। সফল নারীদের পিছনে একজন স্বপ্নবাজ পুরুষ থাকায় নারীরা উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় অংশগ্রহণ করে এগিয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৩ উদযাপন’ উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং সমমনা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে মানবনন্ধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সিলেট জেলায় ২০২৩ সালে নির্বাচিত জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তিনি শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নারীরা মায়ের জাতি, তাঁদের স্থান সবার উপরে। নারীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিছনে তার সহধর্মি শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন বলেই তিনি সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হয়েছেন। তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করে নারী সমাজকে কাজ করার আহবান জানান।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সেলিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোবারক হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল-আজাদ।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক শাহিনা আক্তার এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর শিশু সুরক্ষ কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দাস রায়।
‘নারীর জন্য বিনিয়োগ সহিংসতা প্রতিরোধ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বেগম রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সালমা বাছিত। এছাড়া শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের মধ্যে থেকে দু’জন অনুভূতি প্রকাশ করেন।
এবার জেলা পর্যায়ে সিলেট জেলায় ২০২৩ সালে নির্বাচিত জয়িতারা হচ্ছেন- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার শ্রেষ্ঠ জয়িতা শিপারা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী গোলাপগঞ্জ, নিজ ঢাকাদক্ষিণ এলাকার শ্রেষ্ঠ জয়িতা আদরী রাণী দাস, সফল জননী জৈন্তাপুরের আশামপাড়ার শ্রেষ্ঠ জয়িতা মিনারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী জকিগঞ্জের থানাবাজার এলাকার শ্রেষ্ঠ জয়িতা ফারহানা আক্তার ঝুমি, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার শ্রেষ্ঠ জয়িতা সুবর্না হামিদ।
শ্রেষ্ঠ ৫ জন জয়িতাকে ফুলের শুভেচ্ছা, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবু আহমদ ছিদ্দীকী এনডিসি সহ অতিথিবৃন্দ।