বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের ১ জন ও ছাত্রদলের ৬ জনসহ মোট ৭ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল ১জুলাই (রবিবার) বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর অরিন্টেশন ক্লাস ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগ তাদের কর্মীদের নিয়ে স্ব-স্ব মিছিলের আয়োজন করে। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্ব-স্ব দলের নেতাকর্মীরা মিছিল শুরু করার পূর্ব মুহুর্তে কর্মীদের ডেকে পরামর্শ করে নেয়ার সময় কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে শহীদ মিনারের সামনে অবস্থানকারী একাদশ শ্রেণীর নবাগত ছাত্র ফুহাদ আহমদকে কলেজ ছাত্রদলের মোঃ জায়েদুর রহমান মিছিলে অংশগ্রহনের জন্য ডাক দেন। ঠিক ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আহমদও আহবান জানান তাদের মিছিলে অংশ নিতে ফুহাদকে। সাথে সাথে ছাত্রদলের মোঃ জায়েদুর রহমানের এই বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় এবং একপর্যায়ে হাতাহাতিতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের সিনিয়র নেতা কর্মীদের সমঝোতায় মীমাংসা হয়।
সূত্র আরোও জানায়, উক্ত ঘটনার ঘন্টাখানেক পরে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ আহমদ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবারো অবস্থান নেন কলেজ ক্যাম্পাসে। তখন ছাত্রদলের জায়েদুর রহমান কলেজ ফটকের বাহিরে যাওয়া মাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ও তার কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জায়েদুর এর উপর হামলা চালায়। হামলা থেকে বাঁচার জন্য দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন জায়েদুর। ওই সময় ছাত্রলীগ ক্যাডারদের এলোপাতারি আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে কলেজ রোড থেকে দৌড়ে প্রাণ বাঁচান জায়েদুর।
উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মোঃ জায়েদুর রহমান কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের মাসুদের সাথে অরিয়েন্টেশন ক্লাসের পরে নবাগত ফুহাদকে নিয়ে আমার বাকবিতন্ডা হয় এবং পরে মীমাংসাও হয়। তারপরও সে তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বাহির হওয়ার সময় আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হাত থেকে প্রাণ রক্ষার্থে আমি দৌড় দিয়ে কোন রকম জীবন রক্ষা করে আমি আমার সহকর্মীদের কাছে ছুটে যাই। তখন আমার সহকর্মীরা আমাকে নিয়ে বিয়ানীবাজার সরকারি হাসপাতালে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। ছাত্রলীগ ক্যাডারদের কিল-ঘুষিতে আমার শরীর নিস্তেজ হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতে চিহ্ন ও তাদের এলোপাতারি প্রহারে আমার বুকের বাম পাশে একটি বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ক্ষমতার দাপটে উল্টো আমার উপর মামলা দায়ের করেছে বলেও জানতে পেরেছি। আমি অসুস্থ অবস্থায় পুলিশের কাছে গেলেও কোন আইনি সহায়তা পাইনি।