বিএনপি-জামায়াত সর্ষের ভেতর ভূত দেখছে : সিলেটে মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সর্ষের ভেতর ভূত দেখছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছেন, অথচ বিগত দিনে তারা কোন নির্বাচনই নিরপেক্ষ করতে পারেনি।

তিনি বলেন, ত্যাগের বদলে ভোগ আর আদর্শের বদলে সুবিধা পাওয়া বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী হতে হলে মানুষের পাশে থাকতে হবে। তিনি করোনাকালীন সময় ও সিলেট ভায়বহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করায় সিলেটের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলীয় কাজের পাশাপাশি মানব সেবায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান। এসময় তিনি চা-শ্রমিকদের মজুরিসহ বিভিন্ন সমস্যা এবং আধিবাসীদের ভূমি রক্ষার বিষয়টি সংসদে তুলে ধরবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় সিলেট নগরীর ধোপাদিগিরপাড়স্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় ও দলের কর্মীদের সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা কমিটির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড সিকান্দর আলীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড দীনবন্ধু পালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন- প্রিন্সিপাল গোলাম হোসেন আজাদ, জেলা সদস্য অজিত দেবনাথ, আব্দুল্লাহ খোকন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী আনোয়ার হোসেন, যুব মৈত্রী জেলা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন রুমেল, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী সিলেট জেলার সভাপতি মাসুদ রানা চৌধুরী, নারী মুক্তি সংসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক রিতা আক্তার।

বৈশ্বিক সংকটের দায়ভার মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জ্বালানি ক্ষেত্রে গত দুই দশকে যে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত আছে, সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই এই সংকট এড়ানো যেত। মুষ্টিমেয় দুর্নীতিবাজ, অসৎ ব্যক্তির লোভের ফলে অর্থনীতির যে দশা হতে চলেছে তাতে জনগণের ওই ধৈর্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এরপরও গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হবে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।’

জনগণ ধৈর্য ধারণ করেছে বলেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখন পর্যন্ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিজনিত সংকট নিয়ে কিছু করতে পারছে না বলে দাবি করেন তিনি।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রনেতা সালেহ আহমদ, বিজয় করিম, রবিউল ইসলাম, যুবনেতা আব্দুশ শহীদ, হেলাল আহমদ, ডা. জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, জামাল আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রুহুল আমীন, মিলন উরাং, মুহিত খান, মুহিতোষ চৌধুরী প্রসাধ, বিপ্রদাশ বিশু বিক্রম, সারথী উরাং, নারীনেত্রী আকলিমা আক্তার, লাকি আক্তার, হালিমা আক্তার প্রমুখ।