২০১৬ সালে শেষবারের মতো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল ইংল্যান্ড। পাঁচ বছর পর আবারও বাংলাদেশে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে আসছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে আসবে ইংলিশরা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চিত করার পর মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সীমিত ওভারের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। পরে পৃথক এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে বিসিবি। সীমিত ওভারের দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই ভেন্যুতে মাঠে গড়াবে।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পা রাখবে ইংল্যান্ড দল। তবে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে ১ মার্চ। এর আগে প্রস্ততির জন্য আট দিনের মতো সময় পাবে সফরকারীরা। এর মধ্যে আগামী ২৪ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বলেও জানিয়েছে ইসিবি। তবে সেগুলো কোথায় এবং কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
আগামী ১ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচও এখানেই গড়াবে। ৬ মার্চ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজটি ২০২৩ বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ হলেও আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টুর্নামেন্টে দুই দলের অংশগ্রহণ ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আগামী ৯ মার্চ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ খেলতে আবার ঢাকায় ফিরবে দুই দল। আগামী ১২ ও ১৪ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ দুটিতে পরস্পরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ড। বলে রাখা ভালো, এবারই প্রথমবারের মতো নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে দুই দল।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বকাপের বছরে সিরিজটি দুই দলের জন্যই নিজেদের শক্তিমত্তা যাচাই করার দারুণ সুযোগ। বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে থাকা সমর্থকদের জন্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো জিভে জল আনার মতোই হবে। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড অসাধারণ। আর আমরা সবাই জানি ইংল্যান্ড দলটি কতটা দুর্দান্ত।
ইসিবির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্লেয়ার কনর বলেন, ২০১৬ সালের পর সীমিত ওভারের সিরিজের জন্য ইংল্যান্ডের ছেলেদের বাংলাদেশে ফেরাটা রোমাঞ্চকর। আগ্রহ জাগানিয়া এ সফরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যে আবহ থাকবে, সেটি হবে দুর্দান্ত। বাংলাদেশজুড়েই ক্রিকেটের জন্য দারুণ ভালোবাসা দেখা যায়। দেশের মাটিতে দুর্দান্ত রেকর্ডের অধিকারী এক দলের সঙ্গে আমরা কঠিন এক চ্যালেঞ্জই প্রত্যাশা করছি।