গত কয়েক দিন ধরেই যুক্তরাজ্যে সূর্যের দেখা মেলেনি। দিনের বেলায়ও ছিল কুয়াশা। রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন শহরে তুষারপাত শুরু হয়।
সন্ধ্যা হতে হতেই যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ম্যানচেষ্টার, বার্মিংহাম, কার্ডিফ, লুটন, নর্দাম্পটনসহ বিভিন্ন শহরে তুষারপাত শুরু হয়। রাতে সড়কে সড়কে বরফ জমা শুরু করে।
কয়েক বছর পর প্রচন্ড ঠান্ডা ও তুষারপাতে যুক্তরাজ্যের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস ৪ ডিগ্রীতে নেমে গিয়েছিল। মাত্র কয়েক দিন পর বড়দিন উৎসব হলেও শুক্র ও শনিবার মানুষের চলাচলও অনেকটা কম ছিল।
বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কুয়াশা এবং তুষারপাতের কারণে বিমান ও রেল, মহাসড়কে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত স্কটল্যান্ড, লন্ডন এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডে ‘হলুদ আবহাওয়ার সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত জমাট কুয়াশা, বরফ, তুষারপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
লন্ডনের পপলার এলাকার বাসিন্দা আক্তার আহমদ বলেন, ‘আমি বিকেলে থেকে অন্য একটি শহরে গিয়েছিলাম, তখন কুয়াশা ছিল। রাতে ফিরে দেখি ভয়াবহ অবস্থা। লন্ডন বরফে জমে গেছে। বাড়িঘর, সড়ক, যানবাহন, গাছগাছালি বরফে আচ্ছাদিত।’
ব্রিকলেনের বাসিন্দা রাজু চৌধুরী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি গত মাসে। এদেশে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে কিছুটা দুর্ভোগে পড়েছি। রোববার জীবনে প্রথম তুষারপাত দেখেছি।’
লন্ডনের পার্শবর্তী শহর লুটনের বাসিন্দা মেহেদি হাসান খান বলেন, ‘গত কয়েক দিনের ঠান্ডা, কুয়াশা ও তুষারপাতের কারণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। মানুষ জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আমাদের ঠান্ডার মধ্যে কাজ করকে কষ্ট হচ্ছে।’