মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনামূল্যে বিতরণের স্কুল ড্রেস ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রোগ্রামের (উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম) উপজেলা কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে মুর্শিবাদকুরা উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কয়েকজন অভিভাবক গত বৃহস্পতিবার ইউএনওর কাছে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক নাসিমা বেগম ও সুলতানা বেগম এবং শিক্ষিকা শিল্পী বিশ্বাসের অভিযোগ, নতুন বছরের প্রথম মাস পার হওয়ার পথে। এখনও তাঁরা নতুন বই পাননি। বিনামূল্যের স্কুল ড্রেস দেওয়ার জন্য উপজেলা কো-অর্ডিনেটর বিদ্যালয়ে গিয়ে বলেন, জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে না দিলে কাউকে স্কুল ড্রেস দেওয়া হবে না। উপবৃত্তির তালিকায় নাম উঠাতেও ৫০০ টাকা করে দিতে হবে।
অভিভাবকরা বলেন, তাঁরা হতদরিদ্র মানুষ। এত টাকা পাবেন কোথায়? এমনিতে লেখাপড়া বন্ধ ছিল। ওই স্কুল চালু হওয়ায় ফের ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। স্কুল ড্রেস ও উপবৃত্তির জন্য টাকা চাওয়ায় তাঁরা ইউএনওর কাছে বিচার দিতে এসেছেন।
জানা গেছে, প্রোগ্রামের (পিইডিপি-৪) সাব-কম্পোনেট-২.৫ এর আওতায় প্রাথমিকের ঝরে পড়া রোধে বড়লেখায় ৭০টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে ইউনাটেড এফর্টস ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট নামে একটি এনজিও। ৭০টি কেন্দ্রের শিক্ষার্থী ২ হাজার ১৪ জন। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে শিক্ষক পাঠদানে নিয়োজিত আছেন।
এ বিষয়ে প্রোগ্রামের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন বলেন, স্কুল ড্রেস বিতরণ ও উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তিনি কোনো টাকা চাননি। অন্য কারণে স্কুল ড্রেস বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।