বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার বলেছেন, অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ বন্যায় ফেনী ও নোয়াখালী জেলার ৯০ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৪৮ শতাংশ বাড়িঘর ভেঙেচুরে গিয়েছে, কোথাও কোথাও ভেসে গিয়েছে, তলিয়ে গিয়েছে। সুপেয় পানির সুবিধা শতভাগ অচল হয়ে গিয়েছে। বন্যার পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করায় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর ক্ষতচিহ্ন ক্রমে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দুর্গতদের মধ্যে জীবিকা হারানো ও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডায়রিয়া ও কলেরার মতো রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। তাই নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব মনে করে বিত্তবান সহ সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি শুক্রবার অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালী ও ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ধলিয়া ইউনিয়নে বানভাসি মানুষের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তাহসীনুল কুরআন ইউকে’র পরিচালক ও সিলেটের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ একরামুল হকের ব্যবস্থাপনা এবং দৌলতপুর চৌধুরীপাড়া আল হুমায়রা মহিলা মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা নূরুল করীমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা হারুনুর রশীদ, শিক্ষানুরাগী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, শ্রমিক নেতা আজিজুল করীম, মোশাররফ হোসাইন, তরুণ আলেমেদ্বীন মাওলানা ফয়জুল্লাহ, ধলিয়া বাজার এজেন্ট ব্যাংকের পরিচালক নুরুন্নবী, তাফসীর টিভির কর্ণধার আবু তালেব রুবেল ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার আরও বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আনসার সাহাবীদের গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে সূরা হাশরের ৯ নং আয়াতে কারীমায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, এবং নিজেদের অভাব থাকা সত্ত্বেও নিজেদের ওপর তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়। আমাদেরকে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। বিপদে মুসিবতে, আনন্দ বেদনায় একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করতে হবে।