ফেঞ্চুগঞ্জে অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, বাড়ছে ক্ষোভ

 সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। দিনে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। প্রতিবারই এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় করে লোডশেডিং থাকছে। এমনকি রাতেও একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে।

ভ্যাপসা গরমের সঙ্গে তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। এদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে বিরক্তি প্রকাশ করে দিচ্ছেন ফেসবুকে পোস্ট।

উপজেলাবাসীর দাবি, চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।

এদিকে লোডশেডিং বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ এর কর্মকর্তারাও। তাদের দাবি- জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর থেকেই লোডশেডিং বেড়েছে। সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুতের গ্রাহক আছেন ৩২ হাজারের উপরে। কিন্তু ফেঞ্চুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে বিদুৎ এর চাহিদা আছে ১৬.১ মেগাওয়াট কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ পাচ্ছেন ৬.২৭ মেগাওয়াট। এই উপজেলায় প্রতিদিন রাতে সাড়ে ৮ থেকে ৯ ও দিনে সাড়ে ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে দিনে ও রাতে লোডশেডিং হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (ওএন্ডএম) এ.এফ.এম মাহমুদুল হাসান জানান, ‘রাতে ও দিনে মিলিয়ে বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণেই আমরা লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি।’