সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিধিমালা চূড়ান্ত করে ও তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সিলেট মহানগর শাখা। সোমবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ও সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপ- পরিচালক স্থানীয় সরকার সিলেট মোঃ মামুনুর রশীদ এর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও আজীবন সদস্য জহিরুল ইসলাম মিশু, সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি রোট. এম. ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদি পাবেল, সহ-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান তফাদার মুক্তার, প্রচার সম্পাদক আহসান হাবীব, সদস্য মনসুর আহমদ, রোমান খান প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণীত হয়। সে সময় জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা থাকা সত্তে¦ও এখনো আইনটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। কারণ দীর্ঘ চার বছর অতিক্রান্ত হলেও আইনটির বিধিমালা এখনো প্রণীত হয়নি। যার ফলে মূলত আইনটি অর্কাযর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ কেউই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছেন না।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জাতিসংঘ পাঁচটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গতি, হেলমেট, সিটবেল্ট, মদ্যপান অবস্থায় গাড়ি চালনা ও শিশু আসন। এই পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ে নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে হলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। এছাড়া সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি প্রয়োগে বিআরটির কারিগরি সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ করে ট্রাফিক বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্টদের উপযুক্ত ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা, চালক, মালিক পথচারী ও যাত্রীদের আইন সম্পর্কে জানাতে প্রচার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার ও সড়ক ব্যবহারকারীর সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে বিশেষ কর্মশালার গুরুত্ব রয়েছে। এই বিষয় গুলো সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার দাবি জানানো হয়।