পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপনে গার্মেন্টস শিল্পে জড়িত কারো (সব ধরনের শ্রমিক-কর্মচারি) আপত্তি বা সুপারিশ থাকলে তা ১৪ দিনের মধ্যে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে আপত্তি না জানালে বা সুপারিশ না পাঠালে খসড়াটি চূড়ান্ত আকারে জারি করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। ‘ক’ শ্রেণীতে গ্রেড-১ হিসেবে রাখা হয়েছে সিনিয়র অপারেটরদের (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-২ এ অপারেটর (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-৩ এ জুনিয়র অপারেটর (সব ধরনের মেশিনের জন্য), গ্রেড-৪ এ সাধারণ অপারেট (সব ধরনের মেশিনের জন্য) এবং গ্রেড-৫ এ সহকারী অপারেটরদের (সব ধরনের মেশিনের জন্য) রাখা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে গ্রেড-৫ এর সহকারী অপারেটর বা হেলপারের বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে মূল বেতন ৬ হাজার ৭০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৭৫০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৪৫০ টাকা এবং খাদ্য ভাতা এক হাজার ২৫০ টাকা। একইভাবে গ্রেড-৪ এর সাধারণ অপারেটরদের বেতন ১৩ হাজার ২৫ টাকা, গ্রেড-৩ এর বেতন ১৩ হাজার ৫৫০ টাকা, গ্রেড-২ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ১৫০ টাকা এবং গ্রেড-১ এর অপারেটরদের বেতন ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে মজুরি সমন্বয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, একজন শ্রমিক এক বছর শিল্পে কর্মরত থাকার পর তার বাৎসরিক মূল মজুরি হবে ৭ হাজার ৩৫ টাকা। পরবর্তীতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি পারে। অর্থাৎ মূল মজুরি ৭ হাজার ৩৫ টাকার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে ৭ হাজার ৩৮৬ টাকা নির্ধারিত হবে।