অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফের কর্মবিরতি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শাবি শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
ওই সময় শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি নিজেদের দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘শিক্ষকদের আত্মমর্যাদা এবং গৌরব রক্ষায় গত মে মাস থেকে গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, কালোব্যাজ ধারণ, অবস্থান কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অদ্যাবধি যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের অবস্থান করার কথা ছিল ক্লাসে, ল্যাবে, গবেষণায়- কিন্তু আজ আমাদেরকে অবস্থান করতে হচ্ছে রাস্তায়। এটা আমাদের জন্য লজ্জার।’
শিক্ষকরা বলেন, ‘একটা দেশে দুই নীতি চলতে পারে না। প্রত্যয় নাম দিয়ে শিক্ষকদের সাথে যেভাবে অবজ্ঞা আর অবহেলা করা হচ্ছে তাতে দেশ মেধাশূন্য হবে। ডিপার্টমেন্টের ভালো ভালো মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমরা ধরে রাখতে পারছি না। গ্রাজুয়েশন শেষ করে তারা দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তার একটাই কারণ- শিক্ষা ব্যবস্থায় অবমূল্যায়ন।’
তারা আরো বলেন, ‘আমরা ৩০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এর মধ্যে সরকার আমাদের তিন দফা দাবি মেনে না নিলে আগামী ০১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিস কার্যক্রম সবকিছু বন্ধ থাকবে।’