সম্প্রতি হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ডিজিটাল পাওয়ার ডিপার্টমেন্ট প্রায় শতাধিক বাংলাদেশী পিভি (ফটোভোলটাইক) সলিউশন ইনস্টলারদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করে। ব্যবহারকারীদের সৌরবিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজন সমাধানে পিভি ইনস্টলারদের দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
‘হুয়াওয়ে ইনস্টলার ওয়ার্কশপ ২০২৩’ শীর্ষক এই কর্মশালা নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সহায়ক হবে।
হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) সেশনের শুরুতে এই খাতের সহযোগীদের উপস্থিতিতে তার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের এমডি এম এ তাহের হুয়াওয়ে ইনভার্টার ও সল্যুশন ব্যবহার করলে কি ধরনের সুবিধা পাওয়া সম্ভব সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং হুয়াওয়ের বিভিন্ন পাওয়ার সলিউশন সম্পর্কে জানার সুযোগ পায়। সেশনে বক্তারা হুয়াওয়ে ইনভার্টারের সুবিধা, সমাধান ও এ সম্পর্কিত নানা খুঁটিনাটি বিষয়, আবাসিক অন-গ্রিড এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (ইএসএস) সল্যুশনের ব্যবহারিক প্রয়োগ, ইনভার্টার ইনস্টল করা ও ফিউশন সোলার অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কথা বলেন।
কর্মশালা ছাড়াও, জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে একটি অনুমোদন সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। এই অনুমোদনের মাধ্যমে জেনেটিক লিমিটেড এখন থেকে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক প্রকল্পগুলির জন্য হুয়াওয়ে ইনভার্টারের রেডি স্টক রাখার বিশেষাধিকার পাবে। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের রুম্মান ইকবাল রনি, পরিচালক (সি অ্যান্ড আই, সোলার প্রজেক্ট) এবং ঝাং কাইওয়েই (মি. ক্যালভিন), বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার এই সার্টিফিকেট জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ লুৎফর রহমান এবং মো. ওবায়দুর রহমান, ডিরেক্টর মার্কেটিং এর কাছে প্রদান করেন।
হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া’র ডিজিটাল পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) এই ইভেন্টে বলেন, “হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহার আরও বৃদ্ধি করতে এই খাতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে। সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ যেন নবায়নযোগ্য শক্তির উত্স থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা করা আমাদের পরিকল্পনার অংশ। এই কর্মশালা সৌরবিদ্যুৎ খাত সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।”
অনুষ্ঠানে জেনেটিক পাওয়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান বলেন, “একটি নেতৃস্থানীয় সোলার ইনস্টলার কোম্পানি হিসেবে আমরা হুয়াওয়ের ইনভার্টারের রেডি ষ্টক রাখার যে অনুমোদন পেয়েছি সেটি একটি অসাধারণ সুযোগ। হুয়াওয়ে উন্নত মানের ইনভার্টার সরবরাহ করছে। এই অনুমোদন আমাদেরকে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।”
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনা পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে এবং সোলার ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসার (আইপিপি) প্রকল্প সহ বেশ কয়েকটি ছাদ-ভিত্তিক (রুফ টপ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ডিজিটাল পাওয়ারের দিকে দেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন ও এই রূপান্তরের সহযোগী হিসেবে নানান সহযোগীদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।