
পাকিস্তানের কোয়াটা শহরে এক ভোটকেন্দ্র সংলগ্ন সড়কে বোমা হামলার ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ২০ জনের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা একে আত্মঘাতী হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
বুধবার (২৫ জুলাই) সকালে কোয়েটায় এক ভোটকেন্দ্রের কাছে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে এই হামলা চালান হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ‘ডন’।
পাকিস্তানে বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে জাতীয় নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। একই সঙ্গে ভোট হচ্ছে পাকিস্তানের চার প্রদেশ পাঞ্জাব, বালোচিস্তান, খাইবার পাখতুনখওয়া এবং সিন্ধুতে।
ভোট চলাকালে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়াটার পূর্বাঞ্চলীয় বাইপাস সড়কে এক পুলিশের ভ্যান লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। হামলাস্থলের কাছেই রয়েছে ভোটকেন্দ্র স্কুলটি যেখানে বুধবার সকাল থেকেই ভোট চলছিল। তবে হামলার পর ওই ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আপাততঃ বন্ধ রয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার ধরণ জানা যায়নি। তবে কোয়েটার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন বাট ‘ডন’ পত্রিকাকে বলেন, আমাদের ধারণা এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল।
বিস্ফোরণের পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে।
হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে পুলিশ ও বেসামরিক লোকজন রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে হামলায় নিহতদের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা আহত ২০ জনের মধ্যে আটজনের অবস্থা গুরুতর।
পাকিস্তানের এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা হতে পারে বলে আগেই আশঙ্কা করছিল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে পেশোয়ার কর্তৃপক্ষ সহিংসতা মোকাবেলার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ১ হাজার কাফন কিনে রেখেছেন বলে জানা গেছে।