পর্যটনে নতুন আকর্ষন হতে পারে বহরা রাবার ড্যাম

ঈদের ছুটিতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা রাবার ড্যামে প্রথম দুইদিনে ভিড় করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রচণ্ড রোদের তাপ উপেক্ষা করে কয়েক হাজার নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন ছুটে আসেন বহরা রাবার ড্যামে।

প্রিয়জনকে নিয়ে কাউকে জলে নেমে উল্লাস করতে দেখা গেছে, কেউবা প্রিয় মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ছবি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। ঈদকে কেন্দ্র করে রাবার ড্যাম এলাকায় অস্থায়ী দোকানও গড়ে উঠেছে।

শুধু ঈদ নয়, বিভিন্ন দিবসে বহরা রাবার ড্যামে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করলেও এখানে নেই বসার কোনো বেঞ্চ, নেই ওয়াশরুম, নেই কোনো খাবার হোটেল। বহরা রাবার ড্যামকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি করেছেন দর্শনার্থী ও স্থানীয় লোকজন।

এক নারী দর্শনার্থী বলেন, জায়গাটি খুব সুন্দর। বিশেষ করে যখন রাবার ড্যামে পানি থাকে, তখন সৌন্দর্য বেশি ফুটে ওঠে। অনেক নারী এখানে এসে পানিতে জামা-কাপড় ভিজিয়ে ফেলেন। কিন্ত এখানে কোনো ওয়াশরুম না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাছাড়া এখানে বসার মত কোনো বেঞ্চ নেই, নেই কোনো ভালো মানের খাবার হোটেল। এখানে একটি আধুনিক মানের ওয়াশরুম ও বসার মতো কয়েকটি বেঞ্চ নির্মাণ করা হলে দর্শনার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা হবে।

স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বহরা রাবার ড্যামটিতে যখন পানি থাকে তখন এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন দিবস, ঈদ, পূজাতে এখানে হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। তাই এই স্থানটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিলে ও পরিকল্পনা করে কাজ করা হলে অনেক দর্শনীয় স্থানের চেয়ে এটি উন্নত হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা জনু চৌধুরী বলেন, মানুষের ভ্রমণ করার ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় দূরে যেতে পারে না। তাই আশপাশে যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে সেগুলোতে লোকজন ভিড় করে। বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর নিকট দাবি, এই স্থানটিকে যেন তিনি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। বহরা রাবার ড্যামে আসার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো। দেশের যেকোনো স্থান থেকে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার দিয়ে এখানে আসা যায়। একটি আধুনিক পরিকল্পনা করে রাবার ড্যামটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন জানান, বহরা রাবার ড্যামটি এখন একটি পর্যটনকেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। বহু দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এখানে বেড়াতে আসেন। এই স্থানটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হলে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।