বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) তিনি এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে জনসন বলেন, দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু করা উচিত। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অন্তবর্তী সময়ে একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ নিয়োগ করা হবে। আজ থেকেই এই বিষয়ক কার্যক্রম শুরু করব আমি।
দলের ভেতরে বিদ্রোহ, একের পর এক মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতার পদত্যাগের মধ্যে অনিবার্য পরিণতি মেনে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জনসন তার পদত্যাগের ভাষণে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে কনজারভেটিভরা নতুন নেতা ঠিক করার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন। অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনে দায়িত্ব নেয়া নতুন নেতাই প্রধানমন্ত্রী পদে জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, দলে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রীরাও জনসনকে ছেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলে তার সরকার অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো পথ জনসনের জন্য খোলা ছিল না।
জনসন দলে কতটা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েছিলেন, তা কেবল বৃহস্পতিবার সকালের দুই ঘণ্টায় ৮ মন্ত্রীর পদত্যাগেই বোঝা যায়। অথচ আগের দিনও পার্লামেন্টে তিনি বলেছিলেন, পদত্যাগ তিনি করবেন না।