সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন নৌকার প্রার্থী একজনই। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তিনিই একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী। যারা আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে তারা বিদ্রোহী প্রার্থী।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত সকল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়লাভ করাতে চাই। যারা আওয়ামী লীগের নাম ধরে বিভিন্ন সিন্ডিকেট বানিয়ে রেখেছে আমি সেই সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে চাই।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় দিরাই বাগানবাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে দিরাই-শাল্লা আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল-আমিন চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচনী বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হুদা মুকুট এসব কথা বলেন।
এসময় মুকুট বলেন, আজকে যাকে দিরাই-শাল্লায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তার নিজস্ব কিছু পরিচয় রয়েছে। তার (আল-আমিন চৌধুরীর) বাবা শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। তিনি শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আজকে সেই পরিবারের একজন সন্তানকে জেলা আওয়ামী লীগ নয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকার প্রতীক দিয়ে আপনাদের মধ্যে পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, নৌকার প্রতীক একজন কেই দেওয়া হয়, দু’জনকে নয়। আর নৌকার বাইরে যদি কেউ প্রার্থী হয় তাদেরকে বিদ্রোহী প্রার্থী বলা হয়। সেই বিদ্রোহী প্রার্থী আমরা আওয়ামী লীগের মধ্যে চাই না।
তিনি আরও বলেন, নৌকাকে ফেল করানোর জন্যে বিভিন্ন চক্রান্ত করা হচ্ছে, বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নৌকাকে পাশ করানোর জন্য আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ।
তিনি বলেন, যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থীকে বাদ দিয়ে স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. সুহেল আহমেদ (ছইল মিয়ার) পরিচালনায় সময় স্বল্পতার কারণে এসময় বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট ও দিরাই-শাল্লা সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ (আল-আমিন)।
এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ ও দিরাই-শাল্লা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ সহ কয়েক হাজার মানুষ।